খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

দীর্ঘদিন ধরে যারা মোটা স্বাস্থ্য নিয়ে ভুগছে যারা একমাত্র  তারাই বুঝে চিকন হওয়া একটা ভাগ্যের ব্যাপার। হতে পারে আপনি ছোটবেলা থেকেই মোটা নাহলে হঠাৎ স্বাস্থ্য বেড়ে গেছে।
কিন্তু এর জন্য যতটা না আপনি শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি হতে হচ্ছে মানসিকভাবে। বেশিরভাগ মানুষই চিকন হওয়ার উপায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। আবার অনেকেই মনে করেন, না খেয়ে থাকলেই চিকন হওয়া যায়। কিন্তু এই ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল।  

ভুল নিয়মে চিকন হতে গেলে উপকারের চেয়ে শরীরের ক্ষতিই বেশি হয়ে থাকে। এজন্য সঠিক নিয়মে জেনে ওজন কমিয়ে চিকন হওয়ার চেষ্টা করা ভালো। আজকে আমরা এমন কয়েকটি  চিকন হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনাকে আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। 

   
অধিক পানি পান করুনঃ
পানি পান করলে শরীর আর্দ্র থাকে, এতে আপনার পেট ভরা এমন ভাবও তৈরি হবে। ক্ষুধাও কম লাগবে, এতে আপনার কম খওয়ার অভ্যাস হবে খুব তাড়াতাড়ি , ধীরে ধীরে ওজনও কমবে। দিনে অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

মিষ্টি ও শর্করা জাতীয় খাবারঃ
মিষ্টি জাতীও খাদ্য ও বিভিন্ন ধরণের সফট ড্রিংক খাওয়া বন্ধ  করতে হবে। পাশাপাশি শর্করাজাতীয় খাবার কম খেতে হবে যেমন ভাত, রুটি ।  

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খানঃ
নিয়মিত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমনঃ ডিম, দুধ, মুরগির মাংস, ডাল ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখা উচিৎ ।  প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার চর্বি কমাতে সাহায্য করে। 

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বাদ দিলে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে ।তাই আমাদের ডিম, দুধ, মুরগির মাংস, ডাল ইত্যাদি খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা উচিৎ। তবে  আমাদের গরু ও খাশির মাংস কম খেতে হবে।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

ছোট থালায় খানঃ
বড় থালায় খেলে বেশি খাওয়া অভ্যেস হয়ে যায় । তাই ছোট থালায় খান। খাবার কম খেতে চামচও ব্যবহার করতে পারেন। হাত দিয়ে খেলে বেশি খাবার একবারে আপনি মুখে দেন। হাতের বিকল্প চামচ ব্যবহার করলে খাবার কম খাওয়া হয়।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

Read More>>দ্রুত পেট ব্যাথা কমানোর উপায়

ফাস্টফুড জাতীয় খাবারঃ
প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, সোডা—এই খাবারগুলোকে একেবারে না বলুন। এগুলোর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ ক্যালরি থাকে, এতে ওজন বাড়ে।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

সময় মত খাবার খাওয়াঃ
অনেকেই আছে যারা একেবারে না খেয়ে ওজন কমাতে চায়, কিন্তু একবারে না খেয়ে ওজন কমানো যায় না। তাই কোনো বেলার খাবারকে বাদ দেওয়া যাবে না। দিনে অন্তত ছয়বার খান। তিনবেলা ভারী খাবার ও তিনবার হালকা নাস্তা —এভাবে খাবারকে ভাগ করুন। একেবারে খুব বেশি না খেয়ে অল্প পরিমাণ খাবার খান।

আগে যেখানে হয়তো তিনটি রুটি খেতেন, সেখানে একটি রুটি খান বা যেখানে এক থালা ভাত খেতেন, সেখানে এক কাপ ভাত খান। এর বদলে পেট ভরুন সবজি আর ফল দিয়ে।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার জন্য সবজিঃ
 
খুব তারাতারি চিকন হওয়ার সহজ উপায় হলো বেশি বেশি সবজি খাওয়া সবজিতে আছে পটাশিয়াম যেটা শরীরের রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে ও শরীরের চর্বি দূর করে । 

তাই নিয়মিত দুই কাপ পরিমান সবজি খেতে হবে খুব তারাতারি চিকন হতে চাইলে। সবজির মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

শসাঃ  
খুব তাড়াতাড়ি চিকন হওয়ার জন্য শসা একটি ভালো খাবার এবং 
এটা চিকন হওয়ার জন্য খুবই কার্যকরী । শসার বেশিরভাগ পানি জাতীয় খাবার তাই এটা হজমে সাহায্য করে ও বাড়তি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে । 

শসা দেহ থেকে অতিরিক্ত ফ্লুইড বের করে দেয় । ফলে খুব সহজেই ক্লান্তি দূর হয় । এটি নিয়মিত খেলে বাড়তি ফ্যাট সেল ভেঙ্গে দেয় । ফলে ওজন বারা বা মোটা হওয়ার আশংকা থাকে না।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

টমেটোঃ
বিশেষজ্ঞরা মতে টমেটো মেদ কমাতেও অনেক সাহায্য করে। টমেটো তে ভিটামিন-এ থাকে। টমেটো শরীরে কোলেসিস্টোকাইনিন নামের এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত করে যা পেটের এবং ইনটেস্টাইনের মধ্যে যে ভাল্ব রয়েছে তা সংকুচিত করে দেয় এই হরমোন। যার ফলে খুদা কমে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে । তাই প্রতিদিন তিন থেকে চারটা টমেটো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

লেটুস পাতাঃ
লেটুস পাতায় রয়েছে ফাইবার ও সেলুলোজ । যারা ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তারা খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমানের লেটুস পাতা রাখতে পারেন ।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

পালংশাকঃ
একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়, নিয়মিত ১০০ গ্রাম করে সিদ্ধ পালংশাক বা ১ গ্লাস পালংশাকের রস খাওয়া শুরু করলে শরীরে ডায়াটারি ফাইবার এর মাত্রা বেড়ে যায় । ফলে অধিক সময় পেট ভরা থাকে । এর ফলে সাভাবিক ভাবেই বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে । আর কম খাওয়ার ফলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। 

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

বাধাকপিঃ
বাধাকপিতে থাকে অধিক পরিমানের ফাইভার যা শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে বাধাকপিতে রয়েছে একদম কম মাত্রার ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেড ফলে এটি খেলে ওজন বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনা থাকে না। 

বাধাকপি মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবারকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধা দেয়।
এ জন্য বাধাকপি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে।এটিকে কাঁচা অথবা রান্না করেও খাওয়া যায়। 

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

ব্রকলিঃ
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে ও মেদ কমাতে ব্রকলি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। খুব তারাতারি ওজন কমাতে চাইলে ব্রকলি খাওয়া সবচেয়ে সহজ সমাধান।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

ফুলকপিঃ
ফুলকপি শরীরের অধিক মেদ কমিয়ে শরীরকে একটি সুন্দর গঠনে আনতে সাহায্য করে। যারা তাদের শরীরের অধিক ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন তারা তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়  ফুলকপি রাখতে পারেন।    

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

গাজরঃ
পুষ্টি গুন সম্পন্ন গাজরে ক্যালরি ও সুগার এর পরিমান খুবই কম থাকে। গাজর চর্বি কমাতে অনেক সাহায্য করে। এজন্য আমাদের
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গাজর  রাখতে পারি।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

Read More>>নাইট ক্রিম বানানোর পদ্ধতি

মটরশুটিঃ
মটরশুটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকে।এতে ফ্যাট নেই বললেই চলে।মটরশুঁটি ওজন কমাতে দারুন সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে নিয়মিত মটরশুঁটি খাওয়া উচিত। মটরশুঁটি দেরিতে হজম হয় বলে খুদা কম লাগে আর ওজন নিয়ন্ত্রন এ রাখে।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়ামঃ

হালকা ব্যায়াম থেকে আস্তে আস্তে ভারী ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। অল্প ব্যায়াম আপনার দেহের অনেক উপকার আনতে পারে।

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করুন। যদি একটানা ৩০ মিনিট শরীরচর্চা না করতে পারেন, তাহলে ১০ মিনিট করে দিনে তিনবার করুন। ব্যায়ামের সময় কিছুক্ষণ বিরতি নিন। খুব ভালো হয় যদি প্রতিদিন অল্প অল্প করে শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস করা যায়। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন দৈহিক শ্রমের অভ্যাস করুন।

খুব তারাতারি চিকন হওয়ার উপায়/7 dine ojon komanor upay

খেয়াল রাখতে হবে ভরা পেটে ব্যায়াম করা যাবে না এতে শরীরের ক্ষতি হয়, এজন্য সবথেকে ভালো হয় সকালে হালকা নাস্তা করে ব্যায়াম করার এবং সন্ধ্যা ব্যায়াম করা। ব্যায়ামের আগে যেসব নাস্তা করবেন দুধ, ডিম, কলা ও সুপ।


এমন কিছু দিয়ে শুরু করুন, যা আপনার জীবনধারার সঙ্গে মানিয়ে নিন। হাঁটা সবচেয়ে ভালো, বিকল্প হিসেবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা টেনিস খেলাতে পারেন।

"মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায়""ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায়""চিকন হওয়ার ডায়েট""চিকন হওয়ার জন্য খাবারের তালিকা""স্লিম হওয়ার উপায়""একদিনে চিকন হওয়ার উপায়""মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায়""ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায়""চিকন হওয়ার ডায়েট""চিকন হওয়ার জন্য খাবারের তালিকা""স্লিম হওয়ার উপায়""একদিনে চিকন হওয়ার উপায়"

Post a Comment

0 Comments